সৈয়দপুর ১২:০৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রতারণা মামলায় মাদরাসা শিক্ষক হেলাল হোসেন কারাগারে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৩৫:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৩ ৩৭ বার পড়া হয়েছে
চোখ২৪.নেট অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বিশ্বাসভঙ্গ ও প্রতারণার মামলায় নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার মতিয়ার রহমান বিদ্যাপিঠের সদ্য সাবেক প্রধান শিক্ষক মো: হেলাল হোসেন (৫০) কে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সহোদেব চন্দ্র রায় এ আদেশ প্রদান করেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, সৈয়দপুর উপজেলার গোলাহাটস্থ মতিয়ার রহমান বিদ্যাপিঠের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্বে থাকাকালে মোটা অংকের জামানতের বিনিময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অফিস সহকারী পদে বাদী মো: মিজানুর রহমান মিলনকে নিয়োগ দেন। বিদ্যাপিঠের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি তার বাবা মো: মতিয়ার রহমান ও কমিটির অন্যান্য সদস্যগণ তার নিকটজন হওয়ায় তিনি একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে বিভিন্ন সময় নিয়োগ বানিজ্য করেন। মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ দেন আবার অকারনে জোরপূর্বক শিক্ষক কর্মচারীদের চাকরি থেকে অব্যহতি নিতে বাধ্য করেন। একই কায়দায় বাদীকে জোর পূর্বক অব্যহতি দিতে বলিলে বাদী তাতে অস্বীকৃতি জানান। পরবর্তীতে মো: হেলাল হোসেন বাদীকে বিদ্যাপিঠে আসতে নিষেধ করলে বাদী তার নিকট থেকে নেয়া মোটা অংকের অর্থ ফেরত চান। তৎকালীন প্রধান শিক্ষক মো: হেলাল হোসেন বাদীর নিকট থেকে গ্রহনকৃত মোটা অংকের অর্থ ফেরত দিতে গড়িমসি করেন। পরবর্তীতে মো: মিজানুর রহমান মিলন বাদী হয়ে পেনাল কোডের ৪২০ ও ৪০৬ ধারায় বিজ্ঞ আমলী আদালত, সৈয়দপুর আদালতে পিটিশন ৯২/২২ নং (সি: আর: ১২৬/২৩) মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় আদালতের আদেশ মোতাবেক ডিবি মামলা বিষয়ে তদন্ত করে বাদীর মামলার অনুকূলে প্রতিবেদন দাখিল করেন। মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হলে আদালতে সমন প্রাপ্তির পর আজ মঙ্গলবার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দপুর আমলী আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করেন।

আসামীপক্ষে এ্যাডভোকেট হাসনাইন ইমাম সোহেল  ও বাদীপক্ষে এ্যাডভোকেট শাফিউল আলম শুনানী করেন। শুনানী শেষে আদালত মো: হেলাল হোসেন কে কারাগারে প্রেরণের আদেশ করেন।

বাদীপক্ষ জানান, আসামী হেলাল হোসেন এইভাবে অনেকের কাছে নিয়োগ দিয়ে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন এবং অকারণে অর্থ ফেরত না দিয়ে চাকরিচ্যুত করেছেন। তিনি উপজেলার সোনাখুলী কামিল মাদরাসার শরীরচর্চা বিষয়ের সহকারী শিক্ষক হওয়া সত্ত্বেও একই সময় মতিয়ার রহমান বিদ্যাপিঠের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বিভিন্ন অজুহাতে তাকে তিনবার নিয়োগ দেন এবং বিনা নোটিশে তাকে চাকরীচ্যুত করেন। মামলা দায়েরের পর আসামী হেলাল হোসেন উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব থেকে সরে যান।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য


প্রতারণা মামলায় মাদরাসা শিক্ষক হেলাল হোসেন কারাগারে

আপডেট সময় : ১১:৩৫:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বিশ্বাসভঙ্গ ও প্রতারণার মামলায় নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার মতিয়ার রহমান বিদ্যাপিঠের সদ্য সাবেক প্রধান শিক্ষক মো: হেলাল হোসেন (৫০) কে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সহোদেব চন্দ্র রায় এ আদেশ প্রদান করেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, সৈয়দপুর উপজেলার গোলাহাটস্থ মতিয়ার রহমান বিদ্যাপিঠের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্বে থাকাকালে মোটা অংকের জামানতের বিনিময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অফিস সহকারী পদে বাদী মো: মিজানুর রহমান মিলনকে নিয়োগ দেন। বিদ্যাপিঠের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি তার বাবা মো: মতিয়ার রহমান ও কমিটির অন্যান্য সদস্যগণ তার নিকটজন হওয়ায় তিনি একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে বিভিন্ন সময় নিয়োগ বানিজ্য করেন। মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ দেন আবার অকারনে জোরপূর্বক শিক্ষক কর্মচারীদের চাকরি থেকে অব্যহতি নিতে বাধ্য করেন। একই কায়দায় বাদীকে জোর পূর্বক অব্যহতি দিতে বলিলে বাদী তাতে অস্বীকৃতি জানান। পরবর্তীতে মো: হেলাল হোসেন বাদীকে বিদ্যাপিঠে আসতে নিষেধ করলে বাদী তার নিকট থেকে নেয়া মোটা অংকের অর্থ ফেরত চান। তৎকালীন প্রধান শিক্ষক মো: হেলাল হোসেন বাদীর নিকট থেকে গ্রহনকৃত মোটা অংকের অর্থ ফেরত দিতে গড়িমসি করেন। পরবর্তীতে মো: মিজানুর রহমান মিলন বাদী হয়ে পেনাল কোডের ৪২০ ও ৪০৬ ধারায় বিজ্ঞ আমলী আদালত, সৈয়দপুর আদালতে পিটিশন ৯২/২২ নং (সি: আর: ১২৬/২৩) মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় আদালতের আদেশ মোতাবেক ডিবি মামলা বিষয়ে তদন্ত করে বাদীর মামলার অনুকূলে প্রতিবেদন দাখিল করেন। মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হলে আদালতে সমন প্রাপ্তির পর আজ মঙ্গলবার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দপুর আমলী আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করেন।

আসামীপক্ষে এ্যাডভোকেট হাসনাইন ইমাম সোহেল  ও বাদীপক্ষে এ্যাডভোকেট শাফিউল আলম শুনানী করেন। শুনানী শেষে আদালত মো: হেলাল হোসেন কে কারাগারে প্রেরণের আদেশ করেন।

বাদীপক্ষ জানান, আসামী হেলাল হোসেন এইভাবে অনেকের কাছে নিয়োগ দিয়ে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন এবং অকারণে অর্থ ফেরত না দিয়ে চাকরিচ্যুত করেছেন। তিনি উপজেলার সোনাখুলী কামিল মাদরাসার শরীরচর্চা বিষয়ের সহকারী শিক্ষক হওয়া সত্ত্বেও একই সময় মতিয়ার রহমান বিদ্যাপিঠের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বিভিন্ন অজুহাতে তাকে তিনবার নিয়োগ দেন এবং বিনা নোটিশে তাকে চাকরীচ্যুত করেন। মামলা দায়েরের পর আসামী হেলাল হোসেন উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব থেকে সরে যান।