সৈয়দপুর ০৯:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিজয় দিবসেও খানসামা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে তোলেনি পতাকা, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ 

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:০৩:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২২ ৩৫ বার পড়া হয়েছে
চোখ২৪.নেট অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় সারাদেশের ন্যায় বর্ণিল আয়োজনে ৫১তম মহান বিজয় দিবস পালিত হলেও যাদের জন্য এ স্বাধীনতা, তাদের জন্য নির্মিত উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে দেখা গেছে ব্যতিক্রম চিত্র। সেখানে উত্তোলন করা হয়নি জাতীয় পতাকা, অপরিস্কার-অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে নেই কারো আনাগোনা। এ নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তান কমান্ড কাউন্সিলের নেতৃবৃন্দরা।
শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার পাকেরহাটে অবস্থিত উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে শুনসান নিরবতা। এখানে দেখে বোঝা যায় না আজ মহান বিজয় দিবস। নব-নির্মিত এই বিল্ডিং এর সামনেই রয়েছে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি। আর ভবনের সামনে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যানার টাঙ্গানো। চারপাশে গাছের পাতা, ধুলো আর ময়লায় অপরিচ্ছন্ন অবস্থায় পড়ে আছে।
জানা যায় , উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনগুলো স্থানীয় সরকার বিভাগ (এলজিইডি) এর অধীনে প্রায় সোয়া দুই কোটি টাকা ব্যয়ে প্রতিটি ভবন নির্মাণ করা হয়। ভবনের সামনেই রয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দর্শনীয় ম্যুরাল। ৩ তলা ভবনের প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় করা হয়েছে মার্কেট। মূলত মার্কেটের ভাড়া দিয়ে ভবনের প্রাথমিক খরচ যোগান দিতে মার্কেট করা হয়েছে। এছাড়া ৩ তলায় রয়েছে অফিস কক্ষ, বিশাল আকৃতির একটি কনফারেন্স রুম। অফিস কক্ষে রয়েছে উন্নত আসবাবপত্রসহ আধুনিক বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা। এটি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী উদ্বোধন করেন। সারা বছর ভবন গুলো তালাবদ্ধ থাকে। মহান স্বাধীনতা ও বিজয় দিবসে স্বল্প সময়ের জন্য ভবন গুলো খোলা হয়ে থাকে। সে সময় গুলোতে শুধু কমপ্লেক্স ভবনে জাতীয় ও সাংগঠনিক পতাকা উত্তোলন করা হয়ে থাকে। কিন্তু এবার সেটিও হয়নি। এছাড়া মাসের পর মাস অপরিচ্ছন্ন ময়লা আবর্জনায় থাকে। যা এ জাতির জন্য লজ্জাজনক।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বলেন, যাদের জন্য স্বাধীন ও সার্বভৌম এই রাষ্ট্র তাদের নামে তৈরী হওয়া কমপ্লেক্স ভবনে মহান বিজয় দিবসে পালনে সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বশীল ভূমিকার প্রয়োজন ছিল। উপজেলা প্রশাসন বর্তমানে এটির দায়িত্বে রয়েছে। তাই প্রশাসনের নজরদারি দেওয়া প্রয়োজন ছিল।
এবিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা মোখলেছুর রহমান বলেন, সমন্বয়হীনতার অভাবে এমন একটি ঘটনা ঘটে গেছে। যা আমাদের জন্য বেদনাদায়ক।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের কমান্ডার রাশিদা আক্তার মুঠোফোনে বলেন, আজকের মত দিনে পতাকা উত্তোলন করতে না পারা দুঃখজনক। আমি কমান্ডারের দায়িত্ব থাকলেও পতাকা উত্তোলন করা মুক্তিযোদ্ধাদের কাজ। আর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স রক্ষণাবেক্ষণে যেমন প্রশাসনের দায়িত্ব রয়েছে তেমনি মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদেরও দায়িত্ব রয়েছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ৪০ দিনের কর্মসূচীর লোক দিয়ে এটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য


বিজয় দিবসেও খানসামা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে তোলেনি পতাকা, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ 

আপডেট সময় : ০৬:০৩:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২২
খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় সারাদেশের ন্যায় বর্ণিল আয়োজনে ৫১তম মহান বিজয় দিবস পালিত হলেও যাদের জন্য এ স্বাধীনতা, তাদের জন্য নির্মিত উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে দেখা গেছে ব্যতিক্রম চিত্র। সেখানে উত্তোলন করা হয়নি জাতীয় পতাকা, অপরিস্কার-অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে নেই কারো আনাগোনা। এ নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তান কমান্ড কাউন্সিলের নেতৃবৃন্দরা।
শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার পাকেরহাটে অবস্থিত উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে শুনসান নিরবতা। এখানে দেখে বোঝা যায় না আজ মহান বিজয় দিবস। নব-নির্মিত এই বিল্ডিং এর সামনেই রয়েছে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি। আর ভবনের সামনে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যানার টাঙ্গানো। চারপাশে গাছের পাতা, ধুলো আর ময়লায় অপরিচ্ছন্ন অবস্থায় পড়ে আছে।
জানা যায় , উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনগুলো স্থানীয় সরকার বিভাগ (এলজিইডি) এর অধীনে প্রায় সোয়া দুই কোটি টাকা ব্যয়ে প্রতিটি ভবন নির্মাণ করা হয়। ভবনের সামনেই রয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দর্শনীয় ম্যুরাল। ৩ তলা ভবনের প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় করা হয়েছে মার্কেট। মূলত মার্কেটের ভাড়া দিয়ে ভবনের প্রাথমিক খরচ যোগান দিতে মার্কেট করা হয়েছে। এছাড়া ৩ তলায় রয়েছে অফিস কক্ষ, বিশাল আকৃতির একটি কনফারেন্স রুম। অফিস কক্ষে রয়েছে উন্নত আসবাবপত্রসহ আধুনিক বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা। এটি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী উদ্বোধন করেন। সারা বছর ভবন গুলো তালাবদ্ধ থাকে। মহান স্বাধীনতা ও বিজয় দিবসে স্বল্প সময়ের জন্য ভবন গুলো খোলা হয়ে থাকে। সে সময় গুলোতে শুধু কমপ্লেক্স ভবনে জাতীয় ও সাংগঠনিক পতাকা উত্তোলন করা হয়ে থাকে। কিন্তু এবার সেটিও হয়নি। এছাড়া মাসের পর মাস অপরিচ্ছন্ন ময়লা আবর্জনায় থাকে। যা এ জাতির জন্য লজ্জাজনক।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বলেন, যাদের জন্য স্বাধীন ও সার্বভৌম এই রাষ্ট্র তাদের নামে তৈরী হওয়া কমপ্লেক্স ভবনে মহান বিজয় দিবসে পালনে সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বশীল ভূমিকার প্রয়োজন ছিল। উপজেলা প্রশাসন বর্তমানে এটির দায়িত্বে রয়েছে। তাই প্রশাসনের নজরদারি দেওয়া প্রয়োজন ছিল।
এবিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা মোখলেছুর রহমান বলেন, সমন্বয়হীনতার অভাবে এমন একটি ঘটনা ঘটে গেছে। যা আমাদের জন্য বেদনাদায়ক।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের কমান্ডার রাশিদা আক্তার মুঠোফোনে বলেন, আজকের মত দিনে পতাকা উত্তোলন করতে না পারা দুঃখজনক। আমি কমান্ডারের দায়িত্ব থাকলেও পতাকা উত্তোলন করা মুক্তিযোদ্ধাদের কাজ। আর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স রক্ষণাবেক্ষণে যেমন প্রশাসনের দায়িত্ব রয়েছে তেমনি মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদেরও দায়িত্ব রয়েছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ৪০ দিনের কর্মসূচীর লোক দিয়ে এটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হবে।