সৈয়দপুর ০১:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সনদের বিনিময়ে এক লাখ টাকা ঘুষ দাবি

সেবাপ্রার্থীরা অপেক্ষা করলেও চেয়ারে ঘুমাচ্ছেন নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আরএমও

প্রজিত সুহাস চন্দ
  • আপডেট সময় : ০১:০৫:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৩ ৭৫ বার পড়া হয়েছে
চোখ২৪.নেট অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রজিত সুহাস চন্দ, নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে সেবাপ্রার্থীরা লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করলেও ভেতরে চেয়ারে বসে নাক ডেকে ঘুমাচ্ছেন আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম।

বুধবার (৩০ আগস্ট) দুপুর পৌনে ১২টায় জেনারেল হাসপাতালের চেম্বারে এ ঘটনা ঘটে। এতে চরম ক্ষুব্ধ হন সেবা নিতে আসা লোকজন। তারা এ ঘটনায় তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন।

কবিরহাট উপজেলা থেকে সেবা নিতে আসা মোশাররফ হোসেন বলেন, আমি সকাল সাড়ে ১০টায় আরএমও’র কাছে একটি কাজে তার অফিসে যাই। তিনি আমাকে বসিয়ে রেখে চেয়ারে ঘুমিয়ে পড়েন। এরপর কয়েক সেবাপ্রার্থী চিল্লাচিল্লি করলে তিনি অফিসের কোনায় গিয়ে অন্য চেয়ারে ঘুমিয়ে পড়েন। পরে দুপুর ১২টায় ঘুম ভেঙে আমাকে শনিবার আসতে বলেন।

আরেক সেবাপ্রার্থী নাজমুন নাহার বলেন, দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়েও আরএমও আবদুল আজিমের কক্ষে প্রবেশ করতে পারেনি। ঢুকতে চাইলে বারবার বলা হয় স্যার ব্যস্ত আছেন। পরে খবর নিয়ে জানতে পারলাম ভেতরে তিনি ঘুমাচ্ছেন।

সেবাপ্রার্থীদের দাবি, এ ঘটনায় তদন্ত করে আরএমও আবদুল আজিমের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।

এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে দুপুর সোয়া ১২টায় আরএমও ডা. সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিমকে ফোন দিলে তিনি বলেন, কে বলেছে আমি ঘুমাচ্ছি, তাহলে ফোন ধরলাম কীভাবে। প্রমাণ হিসেবে ছবি-ভিডিওর কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে তিনি ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, এ ধরনের ঘটনা কাম্য নয়। তবে কেউ আমাকে বলেনি। আমি উনাকে ডেকে জিজ্ঞাসা করব এবং ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখব।

এর আগে নোয়াখালীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের এই আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তার (আরএমও) বিরুদ্ধে সনদের বিনিময়ে এক লাখ টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী অনন্যা বিনতে রহমান এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সচিবালয়ের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সেবা বিভাগে অভিযোগ দিলে ফেনীর সিভিল সার্জন ডা. রফিক-উস্‌-ছালেহীনের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য


সনদের বিনিময়ে এক লাখ টাকা ঘুষ দাবি

সেবাপ্রার্থীরা অপেক্ষা করলেও চেয়ারে ঘুমাচ্ছেন নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আরএমও

আপডেট সময় : ০১:০৫:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৩

প্রজিত সুহাস চন্দ, নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে সেবাপ্রার্থীরা লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করলেও ভেতরে চেয়ারে বসে নাক ডেকে ঘুমাচ্ছেন আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম।

বুধবার (৩০ আগস্ট) দুপুর পৌনে ১২টায় জেনারেল হাসপাতালের চেম্বারে এ ঘটনা ঘটে। এতে চরম ক্ষুব্ধ হন সেবা নিতে আসা লোকজন। তারা এ ঘটনায় তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন।

কবিরহাট উপজেলা থেকে সেবা নিতে আসা মোশাররফ হোসেন বলেন, আমি সকাল সাড়ে ১০টায় আরএমও’র কাছে একটি কাজে তার অফিসে যাই। তিনি আমাকে বসিয়ে রেখে চেয়ারে ঘুমিয়ে পড়েন। এরপর কয়েক সেবাপ্রার্থী চিল্লাচিল্লি করলে তিনি অফিসের কোনায় গিয়ে অন্য চেয়ারে ঘুমিয়ে পড়েন। পরে দুপুর ১২টায় ঘুম ভেঙে আমাকে শনিবার আসতে বলেন।

আরেক সেবাপ্রার্থী নাজমুন নাহার বলেন, দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়েও আরএমও আবদুল আজিমের কক্ষে প্রবেশ করতে পারেনি। ঢুকতে চাইলে বারবার বলা হয় স্যার ব্যস্ত আছেন। পরে খবর নিয়ে জানতে পারলাম ভেতরে তিনি ঘুমাচ্ছেন।

সেবাপ্রার্থীদের দাবি, এ ঘটনায় তদন্ত করে আরএমও আবদুল আজিমের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।

এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে দুপুর সোয়া ১২টায় আরএমও ডা. সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিমকে ফোন দিলে তিনি বলেন, কে বলেছে আমি ঘুমাচ্ছি, তাহলে ফোন ধরলাম কীভাবে। প্রমাণ হিসেবে ছবি-ভিডিওর কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে তিনি ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, এ ধরনের ঘটনা কাম্য নয়। তবে কেউ আমাকে বলেনি। আমি উনাকে ডেকে জিজ্ঞাসা করব এবং ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখব।

এর আগে নোয়াখালীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের এই আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তার (আরএমও) বিরুদ্ধে সনদের বিনিময়ে এক লাখ টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী অনন্যা বিনতে রহমান এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সচিবালয়ের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সেবা বিভাগে অভিযোগ দিলে ফেনীর সিভিল সার্জন ডা. রফিক-উস্‌-ছালেহীনের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।