সৈয়দপুর ০৯:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা:)

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৫:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ৯৬ বার পড়া হয়েছে
চোখ২৪.নেট অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ডেস্ক রিপোর্ট: আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা:)। ৫৭০ হিজরির ১২ রবিউল আউয়াল আরবের মক্কা নগরীর কোরাইশ বংশে জন্ম নিয়েছিলেন বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা:)।

মহানবীর (সা:) জন্মের আগে আরবের মানুষ মহান আল্লাহকে ভুলে গিয়ে অনাচারে লিপ্ত ছিল। আইয়ামে জাহেলিয়াতের ওই সময়ে আরবের সর্বত্র ছিল অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা। এ অন্ধকার যুগ থেকে মানবকুলের মুক্তি ও তাদের আলোর পথ দেখাতে মহান আল্লাহ তায়ালা রাসুলুল্লাহকে (সা:) দুনিয়ায় প্রেরণ করেন। ৪০ বছর বয়সে তিনি নবুয়ত লাভ করেন।

ঈদে মিলাদুন্নবী (সা:) উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো: সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন। আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়ে রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, নবীকুলের শিরোমণি, সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবী ও রাসুল হযরত মুহাম্মদ (সা:)-এর জন্ম ও ওফাতের স্মৃতিবিজড়িত পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা:) বিশ্বের মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত দিন।

মহান আল্লাহ তায়ালা হযরত মুহাম্মদ (সা:) কে ‘রহমাতুল্লিল আলামিন’ তথা সমগ্র বিশ্বজগতের রহমত হিসেবে প্রেরণ করেন। দুনিয়ায় তার আগমন ঘটেছিল ‘সিরাজাম মুনিরা’ তথা আলোকোজ্জ্বল প্রদীপরূপে। তৎকালীন আরব সমাজের অন্যায়, অবিচার, অসত্য ও অন্ধকারের বিপরীতে তিনি মানুষকে আলোর পথ দেখান এবং প্রতিষ্ঠা করেন সত্য, সুন্দর ন্যায়ভিত্তিক সমাজব্যবস্থা। আল্লাহর প্রতি অসীম ও অতুলনীয় আনুগত্য ও ভালোবাসা, তার অনুপম চারিত্রিক গুণাবলি, অপরিমেয় দয়া ও মহৎ গুণের জন্য তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হিসেবে অভিষিক্ত। এজন্য পবিত্র কোরআনে তার জীবনকে বলা হয়েছে ‘উসওয়াতুন হাসানাহ’ অর্থাৎ সুন্দরতম আদর্শ। তিনি সত্য ও ন্যায়ে ছিলেন প্রস্তরকঠিন; কিন্তু ক্ষমা ও দয়ায় সরল। তার প্রতিটি কথা ও কর্মই মানবজাতির জন্য অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, হজরত মুহাম্মদ (সা:)-এর সুমহান আদর্শ ও সুন্নাহ অনুসরণের মধ্যেই মুসলমানদের অফুরন্ত কল্যাণ, সফলতা ও শান্তি নিহিত রয়েছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, ধর্মীয় ও পার্থিব জীবনে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা:)-এর সুমহান আদর্শ ও সুন্নাহ বিশ্ববাসীর জন্য সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ, উৎকৃষ্টতম অনুসরণীয় ও অনুকরণীয় এবং এর মধ্যেই মুসলমানদের অফুরন্ত কল্যাণ, সফলতা ও শান্তি নিহিত রয়েছে।’

ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে যথাযথ মর্যাদায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা:) পালনের জন্য সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মহানবী (সা:) এর জীবনের ওপর আলোচনা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে পক্ষকালব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য


আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা:)

আপডেট সময় : ০৭:৪৫:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ডেস্ক রিপোর্ট: আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা:)। ৫৭০ হিজরির ১২ রবিউল আউয়াল আরবের মক্কা নগরীর কোরাইশ বংশে জন্ম নিয়েছিলেন বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা:)।

মহানবীর (সা:) জন্মের আগে আরবের মানুষ মহান আল্লাহকে ভুলে গিয়ে অনাচারে লিপ্ত ছিল। আইয়ামে জাহেলিয়াতের ওই সময়ে আরবের সর্বত্র ছিল অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা। এ অন্ধকার যুগ থেকে মানবকুলের মুক্তি ও তাদের আলোর পথ দেখাতে মহান আল্লাহ তায়ালা রাসুলুল্লাহকে (সা:) দুনিয়ায় প্রেরণ করেন। ৪০ বছর বয়সে তিনি নবুয়ত লাভ করেন।

ঈদে মিলাদুন্নবী (সা:) উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো: সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন। আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়ে রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, নবীকুলের শিরোমণি, সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবী ও রাসুল হযরত মুহাম্মদ (সা:)-এর জন্ম ও ওফাতের স্মৃতিবিজড়িত পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা:) বিশ্বের মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত দিন।

মহান আল্লাহ তায়ালা হযরত মুহাম্মদ (সা:) কে ‘রহমাতুল্লিল আলামিন’ তথা সমগ্র বিশ্বজগতের রহমত হিসেবে প্রেরণ করেন। দুনিয়ায় তার আগমন ঘটেছিল ‘সিরাজাম মুনিরা’ তথা আলোকোজ্জ্বল প্রদীপরূপে। তৎকালীন আরব সমাজের অন্যায়, অবিচার, অসত্য ও অন্ধকারের বিপরীতে তিনি মানুষকে আলোর পথ দেখান এবং প্রতিষ্ঠা করেন সত্য, সুন্দর ন্যায়ভিত্তিক সমাজব্যবস্থা। আল্লাহর প্রতি অসীম ও অতুলনীয় আনুগত্য ও ভালোবাসা, তার অনুপম চারিত্রিক গুণাবলি, অপরিমেয় দয়া ও মহৎ গুণের জন্য তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হিসেবে অভিষিক্ত। এজন্য পবিত্র কোরআনে তার জীবনকে বলা হয়েছে ‘উসওয়াতুন হাসানাহ’ অর্থাৎ সুন্দরতম আদর্শ। তিনি সত্য ও ন্যায়ে ছিলেন প্রস্তরকঠিন; কিন্তু ক্ষমা ও দয়ায় সরল। তার প্রতিটি কথা ও কর্মই মানবজাতির জন্য অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, হজরত মুহাম্মদ (সা:)-এর সুমহান আদর্শ ও সুন্নাহ অনুসরণের মধ্যেই মুসলমানদের অফুরন্ত কল্যাণ, সফলতা ও শান্তি নিহিত রয়েছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, ধর্মীয় ও পার্থিব জীবনে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা:)-এর সুমহান আদর্শ ও সুন্নাহ বিশ্ববাসীর জন্য সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ, উৎকৃষ্টতম অনুসরণীয় ও অনুকরণীয় এবং এর মধ্যেই মুসলমানদের অফুরন্ত কল্যাণ, সফলতা ও শান্তি নিহিত রয়েছে।’

ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে যথাযথ মর্যাদায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা:) পালনের জন্য সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মহানবী (সা:) এর জীবনের ওপর আলোচনা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে পক্ষকালব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে।