জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করতে পারবে না, ডাচ মন্ত্রীকে জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
- আপডেট সময় : ০৭:০২:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫ ৩৫ বার পড়া হয়েছে
যমুনায় নেদারল্যান্ডসের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক ভাইস-মিনিস্টার প্যাস্কেল গ্রোটেনহুইস ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সৌজন্য সাক্ষাৎ

ডেস্ক রিপোর্টঃ অন্তর্বর্তী সরকার আগামী ফেব্রুয়ারীতে ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ডাচ মন্ত্রীকে জানান, তবে এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
গতকাল মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় নেদারল্যান্ডসের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক ভাইস-মিনিস্টার প্যাস্কেল গ্রোটেনহুইস সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. ইউনূস বলেন, সরকার আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তবে আওয়ামী লীগ আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না, কারণ দলটির কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং নির্বাচন কমিশন তাদের নিবন্ধন স্থগিত করেছে।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, আগের স্বৈরাচারী সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত তিনটি ‘কারচুপির নির্বাচনে’ ভোট দিতে না পারা রেকর্ডসংখ্যক নতুন ভোটার এবার প্রথমবারের মতো ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
সাক্ষাৎকালে দুই নেতা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেন। তারা কৃষি, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, প্রযুক্তি এবং যুব উন্নয়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে একমত হন। বিশেষ করে, যুব ও নারী উদ্যোক্তাদের জন্য একটি সোশ্যাল বিজনেস ফান্ড তৈরির সম্ভাব্যতা নিয়ে আলোচনা হয়।
ডাচ ভাইস-মিনিস্টার প্যাস্কেল গ্রোটেনহুইস বাংলাদেশের নির্বাচন প্রস্তুতির প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার এত অল্প সময়ে ভোটের জন্য প্রস্তুত হয়েছে, যা প্রশংসনীয়।
তিনি বাংলাদেশের নতুন শ্রম আইনের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, এই আইন ডাচ ও ইউরোপীয় বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে সহায়ক হবে। ডাচ মন্ত্রী জানান, নেদারল্যান্ডস বাংলাদেশের বিনিয়োগ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সই করার পরিকল্পনা করছে এবং শিগগিরই এটি সই হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
প্যাস্কেল গ্রোটেনহুইস মন্তব্য করেন, ‘৫০ বছর ধরে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডস উন্নয়ন অংশীদার ছিল। এখন আমরা এই সম্পর্ককে রাজনীতি, বাণিজ্য এবং বিনিয়োগে একটি সম-অংশীদারিত্বে রূপান্তরিত করতে চাই।’
যেসব ডাচ কোম্পানি দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা থেকে পণ্য কিনছে, তারা এখন বাংলাদেশে সরাসরি বিনিয়োগ এবং কাজ করার জন্য আগ্রহী, যোগ করেন তিনি।






.gif)










