সৈয়দপুর ০১:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ধর্মীয় চাটুকারিতা অর্থের বিনিময়ে কোরআনের হাফেজ তৈরির কারিগর বড়ভিটা নুরানী শিশু সনদ এতিমখানা মাদ্রাসার শিক্ষক জাহিনুর ইসলাম

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:২৫:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৩ ৩৮ বার পড়া হয়েছে
চোখ২৪.নেট অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সাহেব আলী, বিশেষ প্রতিনিধি: নীলফামারী জেলাধীন কিশোরগঞ্জ উপজেলার বড়ভিটা নুরানী শিশু সনদ এতিমখানা মাদ্রাসা ২০০৮সাল থেকে এই মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকতার দায়িত্ব পালন করে আসছেন হাফেজ মাওলানা জাহিনুর ইসলাম।গোটা প্রতিষ্ঠান জুরেই যেন কর্তৃত্ব বিরাজ করে চলছেন এই জাহিনুর ইসলাম।প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা জনাব আলহাজ্ব মোহাম্মাদ আলী যিনি স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন তার গ্রামের বাড়ি বড়ভিটার বাইরে।সেই সুবাদে প্রতিষ্ঠানটির সব রকম দায়িত্ব পালন করেন এই চাটুকারি শিক্ষক জাহিনুর ইসলাম।

উপজেলা সমাজসেবা অফিস থেকে নিয়মিত বরাদ্দ আসলেও এই প্রতিষ্ঠানের উনুনে কখনও উঠে না রান্নার ধোঁয়া। এতিম শিক্ষার্থীরা লজিং খায় এতিমখানা মাদ্রাসার পাশে থাকা মানুষের বাড়িতে।গেল রমজান মাস জুরে এতিম ছাত্রদের জন্য ইফতারির বরাদ্দ থাকলেও এই জাহিনুর নামক মুখোশ ধারী হুজুর বরাদ্দের মালামাল নিজের ভাড়া বাড়িতে থাকা তার স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে তা ভক্ষণ করেন খুব তৃপ্তির সাথে আর এদিকে এতিম ছাত্রদের কপালে জুটে পঁচা বাসি খাবার।

এসকল পঁচা বাসি খাবার না খেতে পেরে ছাত্ররা হুজুরের বাড়িতে গত ১৯শে এপ্রিল অভিযোগ করতে গেলে হাফেজ রাছেল ইসলাম কে খেতে হয় ঝাড়ুর মার।এতেই শেষ নয় শারীরিক ও মানুষিক টর্চার এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের জীবন জুরে যেন একটি প্রবাহমান দৃশ্যপট।রুমের ভিতরে চলমান এই টর্চার এর কথা বাইরে বলতে গেলে ছাড়তে হয় মাদ্রাসার মাঠ।

এদিকে গেল বছর গুলোতে অর্থের বিনিময়ে হাফেজ তৈরি,মোবাইল ফোন কিনে নিয়ে ২৪ পাড়া কুরআন শরীফ পড়ুয়া শিক্ষার্থীকে পাগুড়ি প্রদান সহ নানাবিদ কুকর্ম পরিচালনা করে চলেন এই নামধারী ধর্মীয় লেবাজ পরিধানকারী জাহিনুর নামক চাটুকারি হুজুর।

মাদ্রাসায় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা রমজান মাসে কোন মসজিদে তারাবির নামাজ পড়ানোর দায়িত্ব নিলে যে হাদিয়া পান তার সিংহভাগ এই চাটুকার হুজুর জাহিনুরকে না দিলে নাকি ব্যাপক ভাবে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতে হয় এই শিক্ষার্থীদের বলেও অভিযোগ তুলেন এসকল শিক্ষার্থীরা। বছরান্তে মাহ্ফিলের আয়োজন করলে তার একমাস আগে থেকেই ছাত্রদের দিয়ে নীলফামারি জেলার বিভিন্ন বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাল টাকা কালেকশন করার মাধ্যমে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছে রুপান্তরিত হয়েছেন মুখোশ ধারী হুজুর নামের এই চাটুকার জাহিনুর।

উপরে ধর্মীয় আবরনে ঢাকা ভিতরের কলুষিত রুপ নিয়ে এমন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পালন করা এই লেবাজধারী হুজুরকে তার এই কুকীর্তির পথ প্রশস্ত করতে সহযোগিতা প্রদান করেই চলছেন প্রতিষ্ঠানের আর এক দায়িত্ব পালনকারী ব্যক্তি হাফেজ মোরছালিন ইসলাম।খুব দ্রুত এমন চাটুকারি ধর্মীয় লেবাজধারী ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহন করার মাধ্যমে সমাজজুরে ধর্মীয় শিক্ষা ব্যবস্থার মানকে তরান্বিত করা হোক এমনি প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন সমাজের সর্বস্তরের সচেতন মহলের মানুষেরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য


ধর্মীয় চাটুকারিতা অর্থের বিনিময়ে কোরআনের হাফেজ তৈরির কারিগর বড়ভিটা নুরানী শিশু সনদ এতিমখানা মাদ্রাসার শিক্ষক জাহিনুর ইসলাম

আপডেট সময় : ০১:২৫:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৩

সাহেব আলী, বিশেষ প্রতিনিধি: নীলফামারী জেলাধীন কিশোরগঞ্জ উপজেলার বড়ভিটা নুরানী শিশু সনদ এতিমখানা মাদ্রাসা ২০০৮সাল থেকে এই মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকতার দায়িত্ব পালন করে আসছেন হাফেজ মাওলানা জাহিনুর ইসলাম।গোটা প্রতিষ্ঠান জুরেই যেন কর্তৃত্ব বিরাজ করে চলছেন এই জাহিনুর ইসলাম।প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা জনাব আলহাজ্ব মোহাম্মাদ আলী যিনি স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন তার গ্রামের বাড়ি বড়ভিটার বাইরে।সেই সুবাদে প্রতিষ্ঠানটির সব রকম দায়িত্ব পালন করেন এই চাটুকারি শিক্ষক জাহিনুর ইসলাম।

উপজেলা সমাজসেবা অফিস থেকে নিয়মিত বরাদ্দ আসলেও এই প্রতিষ্ঠানের উনুনে কখনও উঠে না রান্নার ধোঁয়া। এতিম শিক্ষার্থীরা লজিং খায় এতিমখানা মাদ্রাসার পাশে থাকা মানুষের বাড়িতে।গেল রমজান মাস জুরে এতিম ছাত্রদের জন্য ইফতারির বরাদ্দ থাকলেও এই জাহিনুর নামক মুখোশ ধারী হুজুর বরাদ্দের মালামাল নিজের ভাড়া বাড়িতে থাকা তার স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে তা ভক্ষণ করেন খুব তৃপ্তির সাথে আর এদিকে এতিম ছাত্রদের কপালে জুটে পঁচা বাসি খাবার।

এসকল পঁচা বাসি খাবার না খেতে পেরে ছাত্ররা হুজুরের বাড়িতে গত ১৯শে এপ্রিল অভিযোগ করতে গেলে হাফেজ রাছেল ইসলাম কে খেতে হয় ঝাড়ুর মার।এতেই শেষ নয় শারীরিক ও মানুষিক টর্চার এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের জীবন জুরে যেন একটি প্রবাহমান দৃশ্যপট।রুমের ভিতরে চলমান এই টর্চার এর কথা বাইরে বলতে গেলে ছাড়তে হয় মাদ্রাসার মাঠ।

এদিকে গেল বছর গুলোতে অর্থের বিনিময়ে হাফেজ তৈরি,মোবাইল ফোন কিনে নিয়ে ২৪ পাড়া কুরআন শরীফ পড়ুয়া শিক্ষার্থীকে পাগুড়ি প্রদান সহ নানাবিদ কুকর্ম পরিচালনা করে চলেন এই নামধারী ধর্মীয় লেবাজ পরিধানকারী জাহিনুর নামক চাটুকারি হুজুর।

মাদ্রাসায় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা রমজান মাসে কোন মসজিদে তারাবির নামাজ পড়ানোর দায়িত্ব নিলে যে হাদিয়া পান তার সিংহভাগ এই চাটুকার হুজুর জাহিনুরকে না দিলে নাকি ব্যাপক ভাবে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতে হয় এই শিক্ষার্থীদের বলেও অভিযোগ তুলেন এসকল শিক্ষার্থীরা। বছরান্তে মাহ্ফিলের আয়োজন করলে তার একমাস আগে থেকেই ছাত্রদের দিয়ে নীলফামারি জেলার বিভিন্ন বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাল টাকা কালেকশন করার মাধ্যমে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছে রুপান্তরিত হয়েছেন মুখোশ ধারী হুজুর নামের এই চাটুকার জাহিনুর।

উপরে ধর্মীয় আবরনে ঢাকা ভিতরের কলুষিত রুপ নিয়ে এমন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পালন করা এই লেবাজধারী হুজুরকে তার এই কুকীর্তির পথ প্রশস্ত করতে সহযোগিতা প্রদান করেই চলছেন প্রতিষ্ঠানের আর এক দায়িত্ব পালনকারী ব্যক্তি হাফেজ মোরছালিন ইসলাম।খুব দ্রুত এমন চাটুকারি ধর্মীয় লেবাজধারী ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহন করার মাধ্যমে সমাজজুরে ধর্মীয় শিক্ষা ব্যবস্থার মানকে তরান্বিত করা হোক এমনি প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন সমাজের সর্বস্তরের সচেতন মহলের মানুষেরা।